Kojagari Lakshmi Puja Vidhi (লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র)
In West Bengal, Odisha, and Assam, Lakshmi Puja takes place on a full moon day in the lunar month of Ashwin, which follows Vijaya Dashami, marking the immersion of the ten-armed Goddess Durga.
Kojagari Lakshmi Puja, celebrated on the Purnima Tithi in Ashwin, is often referred to as Bengal’s Lakshmi Puja. In other parts of India, it is commonly known as Sharad Purnima. This special occasion involves the observance of the Kojagari ‘vrata’, during which people perform rituals before the idol under moonlight after fasting throughout the day. The term Kojagari comes from the phrase “ko jagorti” meaning “Who is awake?” Legends say that on this full moon night in the month of Ashwin, Goddess Lakshmi comes down to Earth, wandering around and asking, “Who is awake?” Those who respond to her receive her divine blessings.
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (Kojagari Lakshmi Puja Vidhi)
নিয়মাবলী:-
- লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়।
- লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করা হয়, তবে অনেকে সকালেও করেন। সকালে করলে সকাল ৯টার মধ্যে করে নেওয়াই ভালো।
- পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করা যাবে না।
- লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। তাই যার যেই প্রতিমায় পূজা করার নিয়ম, সে সেই নিয়মেই পূজা করবে।
- পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দিতে হবে।
- পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে। ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে।
- পূজার সময় অন্য মনস্ক হওয়া যাবে না। মনকে লক্ষ্মীতে স্থির রাখতে হবে।
মা লক্ষী দেবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-
মা লক্ষ্মীর চারটি হাত রয়েছে। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্তি— এই চার হাতের তাৎপর্য হিন্দুশাস্ত্রে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে সচেতন নন। সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানতে হবে তিনি কে? কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি? এই নিয়ে অনেক মত রয়েছে। কখনও বলা হয়, তিনি ঋষি ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম ঘটে। আবার অন্য দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা।
মা লক্ষ্মীর আবির্ভাবের আগে দেবী সরস্বতী উদ্ভব হয়েছিলেন। পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬ জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু মহর্ষি ভৃগু প্রশ্নে জ্ঞানে বেরিয়ে পড়েন। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণের গোপন তথ্য খুঁজে বের করতে তিনি যাত্রা করেন। শেষে উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তখন উপলব্ধি করেন যে, মগজের পুষ্টির জন্য দেবী সরস্বতীর আরাধনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই নশ্বর শরীরের উপযুক্ত পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর পূজা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই মা লক্ষ্মীকে দেখা উচিত কেবল ধনদেবী নয়, বরং তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য ও গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য। আর এই দুইয়ের জন্যই অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার ব্যবহার কিভাবে করছে, তাতে মা লক্ষ্মীর কড়া নজর থাকে। অপচয় কিংবা অন্যায় ব্যবহারে মা লক্ষ্মী কখনোই সহ্য করেন না, এই কারণেই তিনি চঞ্চলা।
You can easily download the Kojagari Lakshmi Puja Vidhi in PDF format using the link provided below for your convenience.